গাঙ্গাদি
গাঙ্গাদি আসুশ্তা কিন্তু তার মেয়ের কাছ থেকে শব ঘটনশনশোনা হলে।
প্রশ্ন করা হলে যে কবে থেকে কিভাবে গুরুদেবের শংগে যোগাযোগ হয়েছিল। তার উত্তরে বলল খুব ছটবেলায় বিবহের আগেই গাঙ্গাদির দীক্ষা হয়েছিল। কারন গাঙ্গাদির বাড়ী মলিনাদির বাড়ীর কাছে ছিল।এবং গাঙ্গাদির মা দীক্ষইত ছিলেন গুরুদেবের কাছে সেসুবত্র ধরে গাঙ্গাদিওগুরুদেবের কাছে যেতেন
আস্তে আস্তে গুরুদেবের স্নেহের পাত্রী হয়ে এবং দীক্ষিত হন। গাঙ্গাদি মানুস হিসেবে অত্যস্ত সরল ও বড় মানের মানুষ ছিলেন। এইভাবে চলতে চলতে বিবাহ হলো কিন্তু সংসারে ম্ন ছিল না গাঙ্গাদির সব সময় পুজো আর পুজোএতো তন্ময় হয়ে পূজো করতেন যেক্ষি (!) সংসারে কোনো কিছুই খেয়াল থাকতো না বাচ্ছাকে দুধ খাওয়াতে ও ভূলে যেতা বা কাজে মন ছিলো না। এইসব কারনে গাঙ্গাদীর শাশুডী মঙ্গলচণ্ডীর ঘট নেয়ে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন
তারপর থেকে ধীরে ধীরে শাশুডীর দটো চোখই। এইসব কারনে গাঙ্গাদীর শাশুডী মঙ্গলচণ্ডীর ঘট নেয়ে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। দগাঙ্গাদির মা দিক্ষীত ছিলেন গুরুদেবের কাছে।গাঙ্গাদিও ছোটবেলায় মঙ্গলচন্ডীর মন্ত্রে দিক্ষীত হয়েছিলেন। অত্যন ভক্তীমতী মহিলা ছিলেন। এত তন্মায় হয়ে পূজো করতেন যে, সংসারের কোন কিকেই খেয়াল থাকতো না।
গাঙ্গাদির বিয়ে হয়েছিল গাঙ্গাধরপুর নামক একটি গ্রাম। গাঙ্গাধরপুর থেকে রমাণাথপুরের দূরত প্রায় ৫০ কিলোমিটার। গাঙ্গাদির চাষে বেশ কিছু ফসল হতো।
বাবার প্রিয় সবজি ও থারার জিনিষ নিয়ে রমানাথপুর আশ্রমে পায়ে হেঁটে যেত এবং একদ্ম কিছু না খেয়ে।
আশ্রমে পৌছের "বারকোষে" বারে সব কিছু সাজিয়ে বাবার হাতে দিয়ে প্রনাম করে বাবার পা ঘুয়ে জল খেতো দিনের পর দিন এরকম করত।এরকম একদিন চৈত্র বৈশাখ মাসে প্রখর রৌদের তাপ মথায় নিয়ে মাঠের উপর দিয়ে হাতে ভারী ভারী ব্যাগ নিয়ে হাটতে হাটতে।
রমানাথপুর যাচ্ছে বিশেষ কোন একটা জায়জায় পথ ঘুরে ফেরে সেই জায়গায় এসে জাচ্ছি চ্ছি জল তেস্টায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে।
হাঁটতে হাঁটত রমানাথপুর যাচ্ছে বেশেষ একটা জায়গায় গেছে ঘুরে ফিরে সেই জায়গায় এসে যাচ্ছি। জল তশ্নায় aø¡u (?) ফেটে যাচ্ছ।নিজের প্রতি বিরক্ত হয়ে বেঁধে সামনে একটি পুকুরে জলে ঋাঁপ দিতে যাচ্ছে মনে মনে ভাবছে এ জীবন আর রাখব না। যেই পুকুরে ঋাঁপ দিতে যাবে এমন সময়ে একটি ব্রাম্ননের ছেলে এসে বলল "ওমা, তোমার কি হয়েছে গো?" "তুমি পথ হারিয়ে ফেলেছো? তোমার কস্ট হচ্ছে তোমি কোথায় যাবে গো?"
----------------------------------------------
তারক নাথ চক্রবত্তী
আমি তারক নাথ চক্রবত্তী, হাওরা জেলার গোঁনঅদোলপাড়া গ্রমে আমার বাসস্থান। প্রাইমারী বিদ্যালায়ে চাকরী করি। শ্রীমৎস্বামী প্রহ্লাদ ব্রম্ভচারী মহারাজকে আমি প্রথম দর্শন করি এই কুলডাঙ্গা।
আমি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক। আমার বাবা মা অন্য জায়গায় দীক্ষা গ্রহ্ন ক্রেছেন। দেউলপুর নামে ১টি গ্রামে ইকজন মহাত্মা ছিলেন যার নাম স্বামী ব্রম্ভানন্দ মহারাজ।
ওনার কাছে হোম যজ্ঞ করতাম ব্রম্ভন হিসাবে কিন্তু ওখানে আমার দীক্ষা নেওয়া হয়নি। উনি আমার বাবকে বলেছলেন ওঁর (তারকের) গুরু আমি নই। গুরুদেব অন্য কেউ। একবার রামদার সঙ্গে রমানাথপুরেদ আশ্রমে যাই কিন্তু উনি বললেন, "আপনার এখনো সময় হয়নি বাবা পরে দেব।
হঠাৎ অমাবস্যার পরে সূযগ্রহন ছিল প্রচন্ড প্রাকৃতিক দুযোগ মাথায় মিয়ে আশ্রমে যাই। সবাই বলছে দীক্ষার দিন নেই, কি করে হবে। কিন্তু রমানাথপুরের অন্যান্য শিষ্যরা বলল বাবা ওনাকে দীক্ষা দিন তাহলে কুলডাঙ্গা আশ্রমটা জাগিয়ে রাখতে পারবে।
এই কথা চিন্তা করে গুরুদেব তারক চক্ক্রবত্তী ওনার স্ত্রীকে একসঙ্গে দীক্ষা দিলেন। তারকবাবুর ইচ্ছা ছিল বা উনি মনে মনে ভাবছিলেন আমি শক্তিমন্ত্র দেব।
গুরুদেব অন্ত্রযামী উনি কেছু জিঞেস না করেই শক্তি মন্ত্রে কীক্ষা দিলেন। তারপর গুরুকেবকে জিঞাসা করেছিলাম, 'বাবা, আপনার মতো নবরাত্রি করতে পারব না, কিন্তু যদি অনুমতে দেন, - উদয় অস্ত, - উদয় অস্ত নাম করতে পারি।
গুরুদেব অনুমতি দেয়েছিলেন এবং বলেছিলেন দীক্ষ বাবা তোকে আসব করতে বললাম বটে কিন্তু অনেক বাধা আসবে। ধৈযা ধরে যদি তুই করে খেতে পারিস তাহলে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না।
------------------------------------------------
নাম:
জয়া মন্ডল
গ্রাম:
পোঃ থেরো
জোঃ
হুগলী
থানাঃ
চন্ডীতলা
জয়া মন্ডল
আমার এক জা আমাকে নিয়ে গিয়েছিলো, সেই থেকে বাবা আমাকে স্নেহ করতেন এবং বাবা বলেছিলেন যে মেয়েটি ভালো, আমার কাছে থাকবে, তারপর থেকে আসা যাওয়া চলতে লাগলো।
এর পরেও আমার কয়েকটি সস্তানের জন্ম হয়। কেন গিয়েছিলাম - সবাই যেত, সেই শুনে আমি যাব বলে খুব উদ্বত হয়েছিলাম, স্বামীর সঙ্গে খুব ঝামেলা হত।
চ্যাঁচামেচি, ঝগড়া, অশান্তি এইসব। আমি ভেবেছিলাম এই জীবন আর রাখবো না। বাবা বললেন কি করছিস, তুই আমার কাছে আয়। এই বলে বাবা আমাকে টেনে নিলেন।
তারপর থেকে আসা যাওয়া করতাম, মাঝ মধ্যেই বাড়িতে চলে আসতাম, কোলের মেয়েটাকে নিয়ে ওখানে যেতাম আর থাকতাম। সেটা সংসার সম্পর্কে
সেবা যত্ম করার জন্য ত বটেই, ওর ত ভাইয়েরা বললেন জয়াদি যখন বাড়ি ছেড়েই ছিয়েছেন, তখন এখানে ভাইদের দাছে থেকে অবহেলা পেয়ে বাবার কাছেই পুরোপুরি থেকে গেছেন।
তকন বাবার কাছে কেউ থাকত না। বাবাকে দেখার কেউ ছলো না। ছোট মেয়েটাকে নিয়ে থাকতাম বলে অনেকে বদনাম দিয়েছে।
বাবা বলেছিলেন, তুই কাউকে কোনদিন তোর হাত দেখাবিনা। আমিও বাবার কথা অনুযায়ী হাত দেখাইনি।
বাবার বক্তব্য, আমি গত হ্লে তোর এখানে অর্থাৎ এই আশ্রমে তোর জায়গা হবে না। সত্যি বাবার কথা সত্যি হ্ল।
বাবাকে কি মনে হয়েছিলো? অন্য সাধুদের থেকে আলাদা? না একি রকম?
আলাদা তো বটেই, বাবা যা বলত তাই হতো। বিশেষ কি দেখছেন? শনি মঙ্গলবার এত লোক আসত কেন?
বাবার মহিমা অবশ্যই ছিল, তাই না হলে এত লোক আসত ন। অনেক সময় প্রচুর লোক আসত। বাবা রান্নাঘরে গিয়ে কি যে করে দিয়ে আসতেন, সব যেন পরিপূর্না না হয়ে যেত। বাবার মহিমা তিনি ভেতরে ভেতরে রেখে দিয়েছিলেন,
কাউকে তিনি বুঝতে দেননি। এরকম অনেক দিন গেছে, বাইরে অনেক লোক এসে গেছে, ভাতের হাঁড়ি বা দইয়ের হাঁড়ি ঠাকুর ঘরে রাখা হত। বাবা নিজে হাতে সেটা পরিবেশন করতেন। কখনও কম পড়ত না। বার বার পরিপূর্না হয়ে যেত সেরকম আমি দেখেছি।
বাবা অসুখ করেছে, থম্বোসিস হয়েছে। আমার প্রশংসা কেন করছেন, করবেন না।
এর পর থেকে আর বাবাজী (সিধু ডাক্তার) এই প্রশংসা করতেন না।
দেশে গিয়ে, বাবা যে পূজা করতেন সেই সম্পকর্কে কিছু বলুন। নবরাত্রি হত। মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত পুজা হত। পঞ্চমুন্ডির আসনে বসে তিনি ছাড়া আর কেউ সেই আসনে বসতে পারতেন না। শষ পর্জন্ত রমানাথপূর থকে সব তিনি নিয়ে যেতেন সঙ্গে করে। বাবা অসুস্ত হওয়ার পর ভাইকে অনুমতি তিনি দিয়েছিলেন।
পূজার উপকরন কি ছিল?
বেলপাতা বেশী লাগত। চালের নৈবেদ্য কম হত। চন্দন প্রচুর পরিমান লাগত।
(এক এক দিন এক এক রকম হত)। প্রত্যেকদিন অন্নভোগি বেশি দেওয়া হত। সেইসব ভোগের দায়িত্ব অন্য লোকের উপর ছিল। পায়েস ভোগ কোন কোন দিন দেওয়া হত।
বাবা কি একাসনে বসে পূজা করতেন?
বাবা একাসনে বসে পূজা করতেন না। মাঝে একবার উঠে চা, বিস্কুট, পায়েস এই সব খেতেন। বৈতরনী নদী থেকে চান করে এসে, সেই জল চারিদিকে ছড়িয়ে, তারপর চা খেয়ে পূজায় বসতেন। মাঝে মধ্যে সাবুওখেতেন। ফল খেতেন। ভাত থেতেন না। বাবা যেদিন ভাত খেতেন সেইদিন আলাদা সব ব্যবস্তা ছিল।
*** আমাবস্যার দিনে এখান থেকে যেতেন, শুধু কনিকা দেওয়া হত।
বিকালের দিকে ফলের ভোগও বেশি দেওয়া হত।
দেশে যে ফুল কাড়ানো হত সে সম্পর্কে আপনি কি কিছু জানেন? বিশেষ কিছু দেখেছেন?
সিঁদুর মাখানো যমাথায় বাবা ফুল চাপানো হত, সবাই নিতে আসত, বাবা দিত। বাবা ছোট একটা দুর্গা মূর্তি পূজা করতেন নিয়মিত। সেটা বাবার নিজের দেশে। রমানাথপুরে তিনি কালীমূর্তিই পূজা করতেন। সেখানে দূর্গামূর্তি ছিল না।
বাবা যেখানে হাত দিত সেই জায়গাটা সোনা হয়ে যেত। দেশেও একটা মূর্তি পূজা হত। বাবার মহিমা প্রচুর ছিল। বাবা যেখানে যা কাজ করতেন, বা হোম টোম করতেন, সব কিছু ভীষন ভাবে ফলপ্রসূ হত। কেমন ভাবে যেন সব পরিপুর্ন হয়ে যেত।
উৎসবের সময় বৃস্টি হলে, বাবা বৃস্টি বন্ধ করতেন কি করে?
বাবা যা বলতেন তাই পদে পদে ফলে যেত। কোনসময়ে বললেন, এ বছর পূজা হবে না, বৃস্টি নামবে। সত্যিই এমন বৃস্টি নামল যে মাকে অনেক সঙ্গে রাখার ব্যবস্তা করা হত। বাবা বৃস্টি আনতে পারতেন আবার বন্ধও করতে পারতেন। বন্ধ করতেন কি ভাবে?
যে মায়ের একটা ছেলে, সে কোন দিকে না তাকিয়ে যদি বাটি মাটিতে পুতেঁ দেয় তাহলে, বৃস্টি বন্ধ করা যেত। কেউ দেখবে না। আমি এটা করেছি, তাই বৃস্টি বন্ধ হল। এই ভাবে বলতেন।
শ্মশানে গিয়ে হোম করে যজ্ঞ করে তিনি কাজ করতেন। প্রচন্ড ঝড় হলে বৃস্টি মধ্যেও তিনি সকলের মধ্যে থেকে একটা তেলিপুকুরে বসে ধ্যান করতেন। সবাই পরে বুঝত যে ঠাকুর মশাই কোথায় আছে?
দেখা যেত তিনি সেই ধ্যানে বসে আছেন এবং এই ধ্যানের ফলেই অনেক কিছু পেয়েছিলন। তেলিপুকুরে আশ্রমে একটা গাছ ছিল, গাছের পাতাগুলো সব নীচের দিকে ছিল, মাঝখানটা ফাঁকা ছিল। সেইখানে বাবা বসতেন।
কখনও কখনও রাত্রিরে চলে যেতেন?
সেটা জানা নাই। আমাবস্যার রাত্রে তিনি হাত কেটে রক্ত দিতন কিনা। সেটা জানা আছে। এই বিষয়টাকে রম্ভা বলে। এই রম্ভা যাকে খাওয়াবে, তার বাচ্চা হবে।
সরস্বতী পুজার দিনে নিরামিষ করে সকলকে আসতে বলে মায়ের সঙ্গে আঁচল পেতে বসতে বলতেন। সবাই বসে গেল।
বাবা হঠাৎ করে দৌড়ে চলে গিয়ে, কিছু একটা নিয়ে এসে সবার মুখে দিয়ে দিতেন অন্নকূটের দিনে, কেউ দেখতে পেতেন না। এগুলো করতেন, যাদের বাচ্ছা হয়নি, বাচ্ছা হওয়ার জন্য।
আমার কয়েকজনকে হোমের রম্ভা খেয়ে আমাবস্যার দিনে আশ্রমের ঘাট থেকে চান করতে বলতেন। অনেকের বাচ্ছা হয়েছে। সেইসব বাচ্ছাই ওজন হত। অনেকের বিয়ে হয়নি, বিয়ে হলে, তারপরে ওরা ওজন হত।
অনেক সময় আরামে ফলটল কিছু থাকত না। বাবাকে বলল, বাবা বলত যে, নেই?
বলে আশ্রমে একটা জাম গাছে হলুদ দুটো পাখি আসত, সেই পাখি দেখে বলত। ওই দেখ, হলুদ পাখি এসেছে, তোর অতিথি অর্ধেক রাস্তায় এসে গেছে কিছুক্ষনের মধ্যেই আশ্রমে লোকজন এসে যেত, আলমারিতে ফল রাখার জায়গা হত না। আগে থেকে বলে দিতে পারতেন।
শরীর খারাপের সময় বাবার যখন সমাধি হত, সেটা আপনি দেখেছেন কে? এই সম্পর্কে বিশেষ কিছু মনে নেই।
দীর্ঘদিন অন্ন খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। অমাবস্যার থেকে উপোস করে থাকতেন। দেশে হাইস্কুল করেছিলেন, ঠাকুর ঘর করেছিলেন।
বাবা বিভিন্ন ধরনের যজ্ঞ করতেন সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে, হোমওকরতেন। কিন্তু এইসব বিভিন্ন ভাবে কাজ দিত। দেশের লোকেরা নানা ভাবে অপমান করতেন, নানা অপবাদ দিতেন, বাবা বিচলিত হতেন না। বলতেন আমার উপরে মা আছে। বাবা মায়ের পূজা বেশি করতেন। রাজারামতলায় গিয়ে রামপূজা করতেন। মালনা দেবীর বাড়ি গেয়ে।
আশ্রমে কি ধরনের লোকজন আসত?
যাদের ছেলেমেয়ে হয়নি, যারা নতুন বাড়ি ঘর করবে। যারা বিভিন্ন ভাবে বিপদে পড়েছে। সেইসব বাবা কবজ মদুলি তৈরি করত, নানান ধরনের সেকড় বেটে, পূজোর ফুল দিয়ে তৈরি করতেন। অনেক বেধেঁ দিয়েছেন সেতা মায়ের কাছে জয়াদি তারপর লোক দে পড়তে দিতেন।
বাবা মার মধ্যেই স্বপ্নে দেখা দেন। যখন স্মরন করেন তখনই বাবা দেখা দেন। বাবা প্রেমানন্দকে বলেছিলেন, আমার কোন প্রচার করবি না।
আশ্রমের সম্বন্ধে বলেছিলেন, যে এখানে কিছু হবে না।
তবে একজন মহাপুরুষের সমাধি হবে, মন্দির হবে।
তবে কার হবে সেটা কেন্তূ বলে যান নি। বাবার এখনও জন্ম হয়েছে কি না সন্দেহ। জন্ম হ্লে দেখা পাওয়া যাবে না।
গ্রামের লোক বাবাকে অনেক দিন ঘরের মধ্যে বন্ধ করে রেখেছিল ৭ ৮ দিন। কোনও খাবার নেয়নি। এইকদিন যে খাওয়া দেয়নি, সেটা বাবাকে দেখে বোঝা যায়নি, হেলদোল কিছু ছিল না।
নয়ন যখন থেকে আশ্রমে আসত, তখন ভূত প্রতের অসুখ ছিল, রাতের বেলা বিকট চিৎকার চেঁচামেচি করত, বাবা সেই অসুখ ভালো করে ছিলেন। এইকদিন যে খাওয়া দেয়নি, সেটা বাবাকে দেখে বোঝা যায়নি, হেলদোল কিছু ছিল না।
??? check
বাবা যে কি করে ভালো করেছেন তা সঠিক বলা মুসকিল। তবে আমরা যেটা দেখতাম গভীর রাত্রে নয়ন খুব চিৎকার করছে বাবা গিয়ে একটা পা বুকের উপর তুলে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। আস্তে আস্তে নয়ন শান্ত হয়ে যেত।
ককনও নিমুকের ডাল বুলিয়ে দিয়েছিলেন তিনবার, নয়নকে বলেছিলেন বিছানার তলায় রেখে দিতে। তারপর থেকে ওতা ঠিক হয়।
একবার গোকুলপুরে রক্ষাকালী পূজা ছিল।কালী পূজার মময় মাঠে পুজো দিতে গয়নকে বাবা বারন করেছিলেন,
কিন্তু না শুনে যাবার ফল হয়েছিল। নয়ন মায়ের বেদীর কিছুটা দূর থেকে পড়ে গিয়ে উল্টে উল্টে একাবারে বেদীর কাছে পৌছেছিল, তারপর গঙ্গাজল ছড়া দেওয়ার পর আস্তে আস্তে জ্ঞান আসে।
এর ফলে বাবার বারন করার কারন বুঝতে পেরেছিলেন। আর আমার সেরকম কিছু মনে পড়ছে না।